ইউরোপিয়ান চ্যাম্পিয়নশিপের শিরোপা জয়ের পর বার্সেলোনায় ভিড়লেন দানি ওলমো। কতটা দারুণ সময় পার করছেন সেটি অবশ্য বলার অপেক্ষা রাখে না। এবার অভিষেক ম্যাচে দুর্দান্ত গোলে বার্সার জয়ও নিশ্চিত করলেন এই স্প্যানিশ মিডফিল্ডার।
ইউরোপিয়ান চ্যাম্পিয়নশিপের শিরোপা জেতার আগেই লামিন ইয়ামাল বলেছিলেন, লিওনেল মেসির সঙ্গে ফিনালিসিমায় খেলার স্বপ্ন দেখছেন তিনি। ইউরোয় স্পেন ও লাতিন আমেরিকায় আর্জেন্টিনা চ্যাম্পিয়ন হওয়ায় তাঁর স্বপ্ন পূরণ পথে সবকিছুই পরিষ্কার ছিল। কিন্তু এর মধ্যেই অনিশ্চয়তার আলোচনা।
ইউরোর শেষ ষোলোর প্রথম ম্যাচে চমকে দিল সুইজারল্যান্ড। বার্লিনের অলিম্পিক পার্কে আজ রাতে টুর্নামেন্টের গতবারের চ্যাম্পিয়ন ইতালিকে ২-০ গোলে হারিয়ে কোয়ার্টার ফাইনাল নিশ্চিত করেছে সুইসরা। নিজেদের ইতিহাসে এ নিয়ে দ্বিতীয়বার ইউরোর শেষ আটে জায়গা করে নিল তারা। যেখানে তারা প্রতিপক্ষ হিসেবে পেতে পারে ইংল্যান্ড
ইউরোতে ‘এ’ গ্রুপের শেষ দুই ম্যাচে নির্ধারিত সময় ৯০ মিনিটের পরে গোল হলো দুটি। তাতে দুই অভিজ্ঞতা হলো দুই দলের। স্বাগতিক জার্মানি ৭ পয়েন্ট নিয়ে হয়েছে গ্রুপ সেরা। আর বিদায় নিয়েছে স্কটল্যান্ড।
টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে সেমিফাইনালের আশা বাঁচিয়ে রাখতে আজ ভারতের বিপক্ষে জিততেই হবে অস্ট্রেলিয়ার। রাতে ইউরোতে গুরুত্বপূর্ণ ম্যাচে মুখোমুখি হবে ইতালি-ক্রোয়েশিয়া। স্পেনের প্রতিপক্ষ আলবেনিয়া।
ইতালির ফুটবল প্রেমীরা তখনো ইউরো চ্যাম্পিয়নশিপে স্পেনের বিপক্ষে খেলা দেখায় মগ্ন। এ সময় একদল ডাকাত আজ্জুরিদের সাবেক তারকা ফুটবলার রবার্তো বাজ্জোর বাড়িতে হামলা চালায়।
টাইব্রেকারের স্নায়ুক্ষয়ী উত্তেজনা সবাই নিতে পারে না! এ সময় কেউ কেউ চোখ বন্ধ করে রাখেন। কেউ বা টিভি সেটের সামনে থেকে দূরে গিয়ে প্রিয় দলের জয়ের প্রার্থনা করেন। তাঁদের সঙ্গে কি মানচিনিকে মেলানো যায়!
১৪০০-১৭০০—তিন শতকের রেনেসাঁ বদলে দিয়েছিল ইতালির শিল্প সাহিত্যের জগৎ। যার প্রভাব এড়াতে পারেনি বিশ্বের অন্যান্য দেশও। বিশেষ করে চিত্রকলার জগতে ব্যাপক ওলট–পালট হয় এই নবজাগরণে। এবারের ইউরোতে তেমনই এক রেনেসাঁর অপেক্ষায় ইতালির ফুটবল। যদিও কিছুটা ভিন্ন অর্থে। যে মিশনে সবচেয়ে বড় লক্ষ্য হারানো গৌরব পুনরুদ্ধা
৬১ বছরের ইউরোর ইতিহাসে মনে রাখার মতো কম ঘটনা ঘটেনি। ১৯৬৮ ইউরোর সেমিফাইনালে টস দিয়ে ভাগ্য নির্ধারণ। আর ১৯৯৬ সালে এসে প্রথমবারের মতো ‘গোল্ডেন গোল’ দেখেছে ফুটবল বিশ্ব।
অদ্ভুত এক সময়ে মাঠে গড়াচ্ছে ইউরো ২০২০। ইতিহাসে এর আগে কখনোই এতগুলো দেশ মিলে একটি আন্তর্জাতিক টুর্নামেন্ট আয়োজন করেনি। আয়োজনকে আরও জটিল করে তুলেছে করোনা মহামারি। মহামারির কারণেই ইউরো পিছিয়েছে এক বছর। তবে সব অনিশ্চয়তা পেছনে ফেলে ১২ জুন থেকে মাঠে নামছে ইউরোপের পরাশক্তিরা।